অবৈধ অর্থাৎ অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া সেই সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার (২৯ মে)। এর মধ্যেও যেসব অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হবে না, সেসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। এখানে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। আর সে কারণেই এখনও দেদারছে চলছে উপজেলার এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

জানা গেছে, কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘিরে প্রায় ডজন খানেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে। যেগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ন্যূনতম সুবিধা নেই। অবৈধ এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হয়তো তাদের ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে নামসর্বস্ব এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাই চোখের সামনে অনুমোদনহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না তারা। সে কারণেই হয়তো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই নির্দেশনার পরেও উপজেলা প্রশাসন কোন দৃশ্যমান তৎপরতা চালায়নি।

অথচ অভিযোগ রয়েছে এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার ছাড়াও নানা ধরনের অপারেশন করা হয় অদক্ষ ডাক্তার ও নার্সদের মাধ্যমে। ফলে প্রায়ই প্রসূতি, নবজাতক ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক কয়েক মাস আগেই এই রকম ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পাকেরহাটের কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

তবে এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তার বলেন, হ্যাঁ বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত আছি, এ বিষয়ে আর. এম. ও সাহেবের সাথে কথা হয়েছে এবং তাদের কাছে অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা চাওয়া হয়েছে সেটি পেলেই তাদের সাথে নিয়েই ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের কার্যক্রম চালাবো. ইনশাআল্লাহ।

৭২ ঘন্টা সময়সীমা শেষের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হতে পারি নাই আর তা যেহেতু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে সেহেতু আমরা সময় করে আমাদের অভিযান পরিচালনা করবো এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ বোরহান- উল-ইসলাম সিদ্দিকী এর কাছে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে, আমি আগে খোঁজ নিয়ে দেখি যে আসলে কি কারণে আর কি জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। কিন্তু এই রিপোর্ট পাঠানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে আর যোগাযোগ করেননি।